ads4

ads3

ads2

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ১৫ টি উপায়ে ৫০,০০০ আয় করুন

 

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ১৫ টি উপায়ে ৫০,০০০ আয় করুন 




মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কঠিন বিষয় না হলেও খুব একটা সহজ না। বর্তমান সময়ে উর্ধগামী বাজারদরে সকল জিনিস পত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, এমতাবস্থায় মাসে ৫০ হাজার টাকা না হলে চলা বেশ দায়। তবুও অনেকেই রয়েছে যারা জানতে ইচ্ছুক মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কি? তাদের সঠিক কিছু গাইডলাইন দেয়ার জন্যই এবারের আর্টিকেলের উপস্থাপন। আশা রাখতে পারেন যে, এখান থেকে পাওয়া তথ্য তবে একদম যথার্থ এবং বাস্তবিক জীবনে এপ্লাই করার মত। তাহলে সময় না বাড়িয়ে মূল বিষয় গুলো জেনে নিন। 

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ 

যখনই কোন নির্দিষ্ট একটা অ্যামাউন্ট আয় করা বিষয়ক প্রশ্ন উঠে, তখন সবার প্রথমে চাকরির করার কথা মাথায় আসে। কেমন হয়ে যদি পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি চাকরি যোগাড় করা যায়। এমন নয় যে ৫০ হাজার টাকার কোন চাকরি নেই, মার্কেটে এমন প্রচুর চাকরি রয়েছে যেগুলোর বেতন ৫০ হাজার টাকার আশেপাশেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি ৫০ হাজার টাকার চাকরি করার জন্য প্রস্তুত?

 সাধারণত দেখা যায় ৫০০০০ টাকা বেতনের চাকরির ক্ষেত্রে মিনিমাম দুই থেকে তিন বছরের ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স এর প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন চাকরি জগতে তবে আপনাকে কখনোই ৫০ হাজার টাকার চাকরি প্রথম দিকে দেওয়া হবে না।

 হ্যাঁ কখনো যে করতে পারবেন না বিষয়টি এমন নয়, প্রথমে আপনাকে ছোট এমাউন্টের চাকরি করে করে এগোতে হবে তারপর বলা যায় আগামী কয়েক বছর পর আপনি ৫০ হাজার টাকার চাকরি করতে সক্ষম হবেন। তবে আপনার যদি থাকে এখনই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খোঁজা, তাহলে অন্য যা কিছুই হোক চাকরি দিয়ে হবে না। 

কেননা আমি ধরে নিচ্ছি আপনি নতুন অবস্থায় চাকরি করছেন অথবা এমন কোন উপায় খুঁজছেন যা করে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই চাকরির বিকল্প হিসেবে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায় সে উপায়গুলো নিয়ে থাকছে এবারে বিস্তারিত।

আরো জানুন: মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রম । অনলাইনে আয়ের উপায় 

এইতো গত ১০ বছর আগেও মানুষ এটা ভাবতে পারতো না যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধার্থে অনলাইনে ঘরে বসেও টাকা আয় করা যায়। কিন্তু ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে আমরা এটা বলতে পারি যে, হ্যাঁ এমন অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।  

শুধু তাই নয় এর জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে কোন পরিশ্রম করতে হবে না কেবল আপনার দরকার হবে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে দক্ষতা যেটাকে পুঁজি করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই এমন কিছু উপায় বা দক্ষতা যেগুলো কেন্দ্র করে কাজ করার মাধ্যমে মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে সবার প্রথমে যেটিকে রাখছি সে প্রফেশনটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্স কন্টেন রাইটার (Content Writer) হ্যাঁ আপনি ঠিক শুনেছেন, আপনার  যদি লেখালেখির উপর দক্ষতা থেকে থাকে তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা খুব বড় একটা বিষয় হবেন আপনার কাছে। 

যদি সহজভাবে একটি হিসাব করতে চাই, ধরা যাক আপনি বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় কনটেন রাইটিং করে থাকেন। এক্ষেত্রে বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা অব্দি হয়ে থাকে প্রতি হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেলের মূল্য।  ধরা যাক ঘরে আপনি প্রতি হাজার ওয়ার্ড এর জন্য পাচ্ছেন ৫০০ টাকা। এমতাবস্থায় আপনি যদি প্রতিমাস ১০০টি আর্টিকেল (প্রতি হাজার ওয়ার্ডস এর ভিত্তিতে) তবেই আপনার মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা এসে পড়ছে। 

 হ্যাঁ এটা ঠিক যে এটা প্রতি মাসেই পাবেন এমনটা নয়। এটা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর আপনি কত পরিমান কাজ করছেন, কতটা আর্টিকেল লিখছেন এবং সে আর্টিকেলের গুলোর মূল্য কত নির্ধারণ করছেন। 

আপনি যদি বাংলা ভাষার আর্টিকেল নিয়ে কাজ করেন তবে তুলনামূলকভাবে আয় কিছুটা কম হবে, অন্যদিকে যদি ইংরেজি ভাষায় আর্টিকেল লিখে থাকেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ থাকছে এখানে।  এবার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কাজ কোথায় পাবেন বা কাজের জন্য আর্টিকেল লিখবেন?

 খুব সহজ হিসাব, আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে চাইলে আপনি ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবহার করতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচারণা করতে পারেন, কিংবা নিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে অনলাইনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি প্রত্যেকটা উপায় অনুসরণ করুন কোথাও না কোথাও থেকে তো কাজ আসবে।

 তবে হ্যাঁ প্রথমে আপনাকে কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হবে শিখে নিতে হবে কিভাবে দক্ষতার সহিত কনটেন্ট রাইটিং করা যায়। বর্তমানে এই বিষয়ে অনেক কোর্স রয়েছে আপনার আশেপাশের খোঁজ নিন অথবা অনলাইনে সার্চ করুন কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়ক আপনি অনেক কন্টেন্ট পেয়ে যাবেন। 

ইউটিউবিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকায আয় করার উপায় 

আপনি অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজছেন এবং ইউটিউবে এর কথা আসবেনা এমনটা কখনো হতেই পারে না। বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক আয় করার জন্য সর্বোত্তম যে উপায় গুলো রয়েছে তার মধ্যে youtube সব সময়  ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। 

 আমরা ইউটিউব তো সবাই চিনি, বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ২য় সার্চ ইঞ্জিন ইউটিউব। আমাদের যখনই যে কোন বিষয়ে জানতে হয় সেটির ভিডিও টিউটোরিয়াল এর জন্য চলে যাই ইউটিউবে সার্চ করি সেই বিষয়ে এবং দেখে নেই হাজারো ভিডিও গুলোর মধ্যে যে কোন একটি বা একাধিক। 

 স্বাভাবিকভাবে নিজের দিক থেকেই চিন্তা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে ইউটিউবিং এর চাহিদা বর্তমানে কতটুকু রয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে যেগুলোর সমাধান মানুষ খুঁজে থাকে, আপনি কোন একটি সমস্যাকে আইডেন্টিফাই করুন এবং শেষ সমস্যার সমাধান নিয়ে আসুন ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে। 

বাকি যে কাজগুলো আছে সেগুলো করা যেতেই পারে, ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করার থেকে শুরু করে ইউটিউব ভিডিও মনিটাইজেশন অব্দি সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা ইউটিউবিং ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। 

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে খুব ভালো পরিমাণের আয় করা যায় ইউটিউব এর মাধ্যমে। আপনি একজন নতুন হিসেবে প্রথম দিক থেকে যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে কাজ করা শুরু করুন, ধৈর্য ধরুন এবং সফলতার অপেক্ষা করুন। 

 হ্যাঁ এমনটা নয় যে ইউটিউবে এর মাধ্যমে কেউ ব্যর্থ হয়নি, এমন অনেক উদাহরণ আশেপাশে রয়েছে যারা প্রথমে উৎসাহিত হয়ে ইউটিউবিং শুরু করেছিল কিন্তু একটা সময় গিয়ে আর সেটা কন্টিনিউ করতে না পারার কারণে তারা youtube এ ব্যর্থ হয়েছে। 

তবে যথাযথ পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে এবং একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে অনুসরণ করে চললে ইউটিউব থেকে মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করা কোনো বিষয়ই নয়। 

ব্লগার হয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

আপনি একটা কাজ করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন কখন জানেন? যখন দেখবেন কাজটির মাধ্যমে আপনার নিজের ভালো লাগছে, কাজের দ্বারা অন্যের উপকার হচ্ছে, পাশাপাশি খুব ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করা যাচ্ছে। এই তিনটি  বৈশিষ্ট্য রয়েছে একটি কাজের মধ্যে এবং তার নাম হচ্ছে ব্লগিং। 

জি মহাশয়, আপনি একজন ব্লগার হয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনার প্যাশন হয় ব্লগিং করা, ব্লগিং জিনিসটা কি? আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে উপরে দক্ষ এবং যথেষ্ট পরিমাণের জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং সেটিকে অন্যের সাথে শেয়ার করছেন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করে। আপনার কনটেন্ট হতে পারে লিখিত কিছু অথবা কোন ভিডিও অথবা কোন ছবি। এটা একটা দৈনিক ব্যক্তিগত পত্রিকার মতো যেখানে আপনি প্রতি নিয়ত কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজের মতামত অভিজ্ঞতা জ্ঞান অন্যের সাথে শেয়ার করবেন। 

 পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা আপনার জানা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্যই মূলত আপনি কাজ করবেন, এবং তাদের সাহায্যের জন্য আপনি যে তথ্য প্রদান করছেন সে তথ্যগুলোকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে তাদের দ্বারাই আয় করতে সক্ষম হবেন। 

ব্লগিং একটি বিস্তৃত বিষয় আলোচনা করার জন্য, যার জন্য এই বিষয়ে প্রতিটি ধাপ ধরে ধরে খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছি আমাদের ওয়েবসাইটের ব্লগিং ক্যাটাগরি আন্ডারে। ব্লগিং এর যাবতীয় বিষয়গুলো জানতে এই ওয়েবসাইটের ব্লগিং ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করতে পারেন। 

আর সত্যি কথা বলতে,একটি ব্লগসাইট যখন স্টাবলিস্ট হয়ে যায় তখন সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট হওয়া শুরু করে, এবং এটা এমন একটি আয় যা প্রতি মাসে হবেই হবে। পাশাপাশি আপনি যদি রেগুলার কাজ করে যান তবে এই আয়ের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। 

তাহলে বলা যায়, আপনি যদি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুজে থাকেন তবে ব্লগিংকে আঁকড়ে ধরুন। 

ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

আপনি নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করবেন কিন্তু আপনি ওই পণ্যটি ক্রয় করার মত সক্ষমতা রাখেন না, যার অর্থ এই যে আপনি পণ্যটিকে প্রথমেই নিজে ইনভেস্ট করে ক্রয় না করে সে পণ্যটিকে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করার যে পদ্ধতি সেটি হচ্ছে ড্রপ শিপিং।  কি কিছুটা মিস্ট্রি মনে হচ্ছে? না তেমন কোন বিষয় না। খুলে বলছি..

এখানে আপনি যে কাজটি করবেন তা হচ্ছে আপনি নির্দিষ্ট কিছু প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হবেন (যেমন: BDShop, SELF, CheckBox ইত্যাদি)এই প্লাটফর্ম গুলো আপনাকে ড্রপ শিপিং করার সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। 

 আপনার কাজটি হবে  এই প্লাটফর্মে থাকা পণ্যগুলো ছবি ও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সেগুলোর  ক্রেতাকে খুঁজতে হবে। আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে হোক, কিংবা ফেসবুকে বিজনেস পেজ তৈরি করে হোক, স্বাভাবিকভাবে যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম করা হয়ে থাকে সেগুলো করবেন।

 যখন আপনি উক্ত পণ্যের ক্রেতাকে খুঁজে পাবেন বা কেউ আপনার পণ্যটি ক্রয় করতে ইচ্ছুক হবে বা অর্ডার করবে, তখন আপনি ক্রেতার সকল তথ্য আপনার ড্রপ শিপিং প্ল্যাটফর্মে স্থাপন করবেন। ওই প্লাটফর্মটি নিজ দায়িত্বে আপনার ক্রেতার কাছে পণ্যটি পাঠিয়ে দিবে। 

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ক্রেতার কাছে কত টাকা পণ্যটি বিক্রি করেছেন তা ড্রপ শিপিং প্ল্যাটফর্মটির মাথা ব্যথার কারণ নয়, আপনি কেবল ওই প্লাটফর্মে থাকা পণ্যটি যে মূল্য সেটি প্ল্যাটফর্মকে দিবেন বাকি যত টাকা হয় সেটা প্ল্যাটফর্ম আপনার একাউন্টে জমা রাখবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়:

 ড্রপ শিপিং প্ল্যাটফর্মে একটি পণ্যের মূল্য ১০০ টাকা, আপনি নিজ থেকে ওই পণ্যটি কোন ক্রেতাকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ড্রপ শিপিং প্ল্যাটফর্ম আপনার পণ্যটি ক্রেতাকে দিবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিয়ে নিবে। এবং তারা ১০০ টাকা রেখে বাকি ৫০ টাকা আপনার একাউন্টে জমা করে দিবে। 

এটা যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনাকে পণ্য ক্রয় এবং বিপণন সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে হচ্ছে না, আপনার হয়ে কাজ করে দিবে তারা তবে মাঝে কিছু মুনাফা পাবেন আপনি।  এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা এখান থেকে অনায়াসে আয় করা যাবে যদি আপনি যথাযথভাবে কাজ করতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

অনলাইন সংক্রান্ত কাজের কথা বলা হবে অথচ ফ্রিল্যান্সিংয়ের নাম আসবে না এমনটা হওয়া নয়,  ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি প্রফেশন যেটি কোন নির্দিষ্ট চাকরি কিংবা ব্যবসা নয়। মূলত দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে আউটসোর্সিং করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

 ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু মার্কেটপ্লেসে নিজের প্রোফাইল গড়ে তুলতে হবে এবং আপনার নির্ধারিত স্কিল অনুযায়ী কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে হবে। স্কিল কিভাবে ডেভেলপ করবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি যে স্কিল গুলো নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করা হচ্ছে সেগুলো হল: 

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • ফ্রিল্যান্স কন্টেন রাইটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইনিং

এছাড়া আরো অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলো কে কেন্দ্র করে ফ্রিল্যান্সিং করা হচ্ছে। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কেন্দ্র করে রয়েছে অনেকের অনেক জল্পনা কল্পনা, বিশেষ করে বিভিন্ন কোর্স বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে উন্মাদ প্রতিযোগিতা। শুরুর দিকে এসব ফাঁদে পা না বাড়িয়ে ভিজে থেকে রিসার্চ করুন এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী স্কিলটি ডেভলপ করে ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রম শুরু করুন।

 ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা এবং প্রচেষ্টার উপরে। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যারা মাসে লাখ টাকা দেওয়ায় করতে পারছে আবার এমনও রয়েছে যারা ১০০ ডলারের বেশি আয় করতে সক্ষম নয়। তাই নিজেকে গড়ে তুলুন নিজের স্কিলের উপরে ভরসা রেখে কাজ করে যান। 

গ্রাফিক ডিজাইনিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে দশটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা সম্পর্কে বলতে গেলে গ্রাফিক ডিজাইনিং বিষয়টি অবশ্যই আসবে। কেননা, বর্তমান সময় থেকে  সুদূর ভবিষ্যৎ  অব্দি বিভিন্নভাবে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে বর্তমানে অনলাইন জুকে যেখানে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন হয় গ্রাফিকের মধ্য দিয়ে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার ভবিষ্যৎ সবসময় উজ্জ্বল হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

হ্যাঁ বর্তমান সময়ে এআই দ্বারা পরিচালিত গ্রাফিক্যাল কাজগুলো দেখে অনেকে অনেক দ্বিধায় ভুগতে থাকলেও, প্রফেশনাল ভাবে যে গ্রাফিক ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করছে তাদের ক্যারিয়ারের কোন প্রকার প্রভাব ফেলতে পারবে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 

তবে প্রশ্ন হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইনিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কি? প্রথমত নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করতে পারেন, অনলাইনে রিমোট জব করতে পারেন, নিজের এজেন্সি তৈরি করতে পারেন, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপেসে কাজ করতে পারেন, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন ইত্যাদি।

 তবে আপনাকে খুব ভালোভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে হবে, গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে গ্রাফিক ডিজাইনিং নামক ক্যাটাগরিটির অনুসরণ করতে পারেন। সেখানে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য এবং কিভাবে এখান থেকে আয় করতে পারবেন সে বিষয়ে প্রপার গাইড লাইন। 

ই-কমার্স বিজনেস গড়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন ছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যক্রম করে মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে আপনার শীর্ষ পছন্দ। প্রথমে কোন ওয়েব ডেভলপার কিনবা ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট  তৈরি করে নিন। দেখুন কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসাকে সম্পন্ন অনলাইনে কনভার্ট করুন অথবা নতুন করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপর ব্যবসা গড়ে তুলুন। 

তবে ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য জনপ্রিয় পূর্ণ বা সেবা নির্বাচন করে রাখতে হবে,  পরবর্তীতে সে পণ্যগুলোকে মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহক নিয়ে আসতে হবে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে। আপনি স্বাভাবিক ভাবেই যেরকম ব্যবসা করতে হয় ঠিক একই কাজ করবেন তবে এটা হবে অনলাইন সেক্টরে। আপনার থাকবে না কোন  রিয়েলিটিতে শপ,  কেবল থাকবে ভার্চুয়াল ওয়েবসাইট।  সেখান থেকে পরিচালিত হবে আপনার ব্যবসা। ব্যবসা যতই সফল হবে মাসিক ইনকাম তত ভালো হবে। 

স্ব-শরীরে কার্যক্রম । অফলাইন ভিত্তিক উপায়

মুদিখানার দোকান

প্রত্যেকটি পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয় মুদির দোকান থেকে। মুদির দোকানের আনাগনা রয়েছে প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে। আপনি যদি মুদির দোকানের জন্য ভালো একটি জায়গা নির্ধারণ করতে পারেন তবে খুব ভালো ব্যবসা সেখানে করতে পারবেন। 

মনে রাখতে হবে একটি মুদির দোকান শুরু করতে জায়গা ও এডভান্স ছাড়াই লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হয় প্রথম দিকে। আপনার দোকানে যদি পর্যাপ্ত পণ্য থাকে তবে আপনার ব্যবসা ভালো চলবে। আপনাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, এলাকা ভিত্তিক মুদির দোকানে লোকেরা সপ্তাহ ও মাসিক হারে বাকিতে জিনিস পত্র ক্রয় করে থাকে, তাই আপনাকে অবশ্যই তরল অর্থ ব্যবস্থায় পটু হতে হবে। 

 মুদি দোকান দেয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা গুলো হলো: হাট-বাজার, এলাকার জনবহুল স্থানে, এমন স্থানে যেখানে আশেপাশে অনেক বসতবাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি পাইকারি যেখান থেকে মুদি মালামাল আনবেন সে স্থানের সাথে ভালো যাতায়াত ব্যবস্থাও থাকতে হবে। আর হ্যাঁ, মুদির দোকানের মাধ্যমে মাসে অনায়াসেই ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। 

কফি হাউজ 

কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ না থাকলেই, কফি হাউজের ব্যবসা এখনও রমরমা রয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একটা কফি হাউজের সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো সেটার লোকেশন, আপনি যদি লোকেশন চুস করতে ভুল না করেন তবে ব্যবসা হবে একদম জমজমাট। 

এই ধরণের স্থানে লোকেরা মূলত কফি খাওয়া কম, আড্ডা কিংবা গল্প করতে আসে বেশি। তাই কফি হাউজের ভেতরের পরিবেশ হতে হবে বেশ নিরিবিরি ও মনরম, যেখানে কিছু সময় বসে থাকলে মনকে হাল্কা করা যায়। 

তবে কেবল লোকেশন ও ভেতরের পরিবেশ হলেই যে হবে তা কিন্তু নয়, আপনাকে কফির উপরেও বেশ ভালো ফোকাস করতে হবে। আপনার কাস্টমারদের যে কফি পরিবেশন করবেন তা যদি ইউনিক করা যায় বা আশেপাশে অন্য সবার থেকে ভালো কিছু প্রোভাইড করা যায় তবে আপনার ব্যবসার জন্য আলাদা করে মার্কেটিং করতে হবে না বরং কফি প্রেমিরাই আপনার হয়ে মার্কেটিং করে দিবে। 

সাধারণত কফির ভেরিয়েন্টের কমতি নেই, আপনাকে যথাসম্ভব পরিমাণের ভেরিয়েন্ট রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণের হট কফি আর কোল্ড কফিই চলবে। তাই এই দুইটায় দিতে হবে আলাদা রকমের যত্ন। যাই হোক এতো গেলো শপ সম্পর্কে আলোচনা, মূল কথা হচ্ছে এখানে স্বাভাবিক ভাবে লোকজন কম আসে তবে কফির দাম ও মান অনুযায়ী মাসে খুব ভালো আয় করতে পারবেন। এবং এই ব্যবসাটিকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা আয়ের লিস্টে অনায়াসেই রাখা যায়। 

রিসেলার

যে বা যারা রিসেলিং ব্যবসা করে তাদেরকে রিসেলার বলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে রিসেলিং ব্যবসা কি? মূলত একটি পণ্য ক্রয় করার পরে সেই পন্যকে পুনরায় বিক্রি করাকেই রিসেলিং প্রক্রিয়া বলে। এটিকে অনেকটা ড্রপশিপিং এর সাথে কানেক্ট করা যায়। 

রিসেলিং ব্যবসায় আপনাকে প্রথমে নিদিষ্ট কোনো পণ্য বেছে নিতে হবে যেটা নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন, পরবর্তীতে আপনার সর্বোচ্চ ইফোর্ট দিয়ে এমন স্থান গুলো বেছে নিতে হবে যেখান থেকে ঐ পণ্যটি অল্প দামে ক্রয় করতে পারবেন, এবং আপাশাপাশি ওই স্থান ও সিলেক্ট করতে হবে যেখানে ওই গুলোর চাহিদা রয়েছে এবং সহজে সেস্থানে পণ্য গুলো পাওয়া যায় না, এক্ষেত্রে আপনি সেখানে পণ্য গুলো পৌছে দিয়ে ব্যবসা করবেন। 

এটা অনেকটা সাধারণ ব্যবয়ায়ের মতন, তবে কিছুটা ভিন্ন। যাই হোক, রিসেলিং করার মাধ্যমেও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে ব্যবসা সব সময়ই উত্তম, এখানে যতটা শ্রম দিবেন, যতটা ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করবেন ততটা সাইন করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

মোবাইল এক্সেসরিজ এর দোকান

মোবাইল এক্সেসরিজ বলতে মোবাইলের সাথে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণকে বোঝানো হয়েছে, (যেমন মোবাইল চার্জার, ইয়ারফোন, পাওয়ার ব্যাংক, স্ক্রিন প্রটেক্টর, ব্যাক কভার ইত্যাদি) এগুলো পাইকারি মূল্যে ক্রয় করে নিজে দোকান দিয়ে ব্যবসা করা। কিংবা মেইন সোর্স থেকে নিয়ে এসে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক দোকানের সাপ্লাই দেওয়ার মাধ্যমে ও ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। 

প্রশ্ন জাগতে পারে, “এই ধরনের প্রোডাক্টে কি পরিমান আয় হয় বা মুনাফা হয়?” উদাহরণস্বর বলা যায় বর্তমানে নরমাল একটি চার্জারের পাইকারি মূল্য ৫০ থেকে ৬০ টাকা, এবং খুচরা বাজারে কোন ক্রেতা খুচরা দোকান থেকে কিনতে গেলে তার কাছ থেকে মিনিমাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা রাখা হয়। একইভাবে একটি ইয়ারফোনের দাম নরমাল গুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এমনই প্রতিটা পণ্যের পাইকারি মূল্য গুলো খুব কম হয়ে থাকে মোবাইল এক্সেসরিজ এর ক্ষেত্রে। প্রায় সময় দেখা যায় কিন্তু মূল্য থেকে ২ গুণেরও বেশি দাম হকানো হয় খুচরা কে তাদের কাছ থেকে। 

আপনি যদি শুরুতেই কোন দোকান দিতে না পারেন তবে মেইন পাইকারি সোর্স থেকে পণ্য ক্রয় করে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ছোট দোকানগুলোতে সাপ্লাই দিতে পারেন, এক্ষেত্রে পাইকারি মূল্যের সাথে আপনার খরচ এবং কিছু মুনাফা যুক্ত করে যে মূল্য আসে, সে বলে বিয়ে করতে পারেন। যেহেতু আপনি খুচরা বিক্রেতাদেরকে একভাবে সাহায্য করছেন, সেহেতু আপনার থেকে অবশ্যই করবে। 

সত্যি কথা বলতে এই কাজটি যত বেশি করতে পারবেন তত বেশি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কেননা আপনি দেখলেন ক্রয় মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ এর মত দামে মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি করার সুযোগ থাকে এবং মানুষ এই দামেই কিনে থাকে। তাই এখানে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অধিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এক্ষেত্রে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে মোবাইল এক্সেসরিজ এর ব্যবসা কে অবশ্যই লিস্টেড করা যায়। 

কসমেটিক্স

কসমেটিক্স, মানুষকে সুন্দরে পরিণত করার  কৃত্রিমভাবে মূল উপাদান। সকলেই চাই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এমত অবস্থায় কসমেটিক্স নামক সুন্দর তৈরি করার কৃত্রিম উপাদান এর ব্যবসা সব সময় লাভজনক। 

দেখা গিয়েছে কসমেটিক্স এর দাম অন্যান্য যে কোন পণ্যের থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে।কিছু কিছু কেস স্টাডিতে এটাও দেখা গেছে যে, একটি কসমেটিক্সের যে পাইকারি ক্রয় মূল্য হয় তার থেকে তিনগুণ বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। যেহেতু কসমেটিক্সে এমআরপি সাধারণত দেওয়া থাকে না তাই বিক্রেতা নিজের মন মতো দাম হকাতে পারে।

কসমেটিকস জগতে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেশ নাম ডাক রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মার্কেটে ইন্ডিয়ান কসমেটিক্স এর চাহিদা ব্যাপক। আপনি যদি কোন ভাবে ভারত থেকে কসমেটিক্স আমদানি করতে পারেন এবং সেগুলো বাংলাদেশী মার্কেটে সাপ্লাই করতে পারেন, মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা আপনার কাছে কোন বড় ব্যাপার হবে না।

তবে এই ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে বড় পরিমান অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে, কেননা কসমেটিক্স এর ভেরিয়েন্ট অনেক বেশি হওয়ার কারণে,  অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করতে হবে। কসমেটিক সংক্রান্ত ব্যবসা সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাস করে এমন একটা পেশা বা কাজের কথা বলতে যেটা করতে খুব বেশি একটা কষ্ট নেই, করার ক্ষেত্রেও একটা সাস্পেন্স বা আলাদা রকম ভালো লাগা কাজ করে পাশাপাশি খুব ভালো পরিমাণের আয় করা সম্ভব তাহলে এক কথায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কথা বলবো। 

হ্যাঁ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এমন এক ধরণের কাজ যেটা করাই হয় খুশির মুহুর্ত উদযাপনের জন্য। যেমন: বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন, অফিস ইভেন্ট, মিলনমেলা, ফেয়ারওয়েল সহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন ম্যানেজমেন্ট টিম হায়ার করা হয়।

স্বাভাবিকভাবে যদি একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টিকে উপস্থাপন করতে হয় তবে ভুল বুঝে একটি ইভেন ম্যানেজমেন্ট টিম যদি ওয়েডিং ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ভাড়া করা হয়ে থাকে তবে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ লাখ টাকা অব্দি পেমেন্ট গ্রহণ করে। সে তুলনায় দেখতে গেলে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা খুব কঠিন একটা কাজ নয়। 

তবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ কেউ চাইলেই করতে পারবে এমনটা নয়, এর জন্য প্রয়োজন দক্ষতার ও সকল কিছু এরেঞ্জ করার মত সক্ষমতার। প্রয়োজন ডিজাইনার ও অনেক লোকবল উক্ত কাজ গুলো করার জন্য। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এটা একক কোনো কাজ নয়, এটা করতে প্রয়োজন হয় একটি টিমের। 

ফাস্টফুড কর্নার 

Fast Food কর্ণার থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে করতে হবে যা হলো:

১) সঠিক স্থান নির্বাচন: সর্বদা মনে রাখবেন যে, একটি ফাস্ট ফুড কর্ণার দিতে হবে এমন কোনো স্থানে যেখানে মানুষ অনেক বেশি হয় এবং হাতে খুব অল্প সময় নিয়ে আসে, ফাস্ট ফুড কর্ণারে মানুষ আসে কুইক কিছু খাবার নিতে যা ইন্সট্যান্ট খাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো স্থান হলো: অফিসের পাশে, স্কুল কলেজের পাশে, খেলার মাঠের পাশে। 

২) খাবারের মান সর্বদা ভালো রাখতে হবে: সাধারণত মানুষ ফাস্ট ফুড টাইপ খাবারের ক্ষেত্রে হাইজেনিকতা না দেখলেও পরিবেশনের ক্ষেত্রে বেশ তৎপর। তাই আপনার কর্ণারের পরিবেশ সুন্দর, খাবারের স্থান পরিষ্কার ও উপস্থাপন সচ্ছ হতে হবে। 

৩) আরেকটি বিষয় যা ফুড কর্ণারের খাবারের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয় তা হলো দাম। ফাস্ট ফুড টাইপের জিনিসের দাম যতটা কম হবে ততটা মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। আবার দাম কমাতে গিয়ে মান যেনো কমে না যায় সে বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। 

যাই হোক, আপনি যদি যথাযথ স্থানে ও সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে ফাস্ট ফুড কর্ণারের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। 

কোচিং সেন্টার

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার জন্য আরেকটি সেরা উপায় হল কোচিং সেন্টার স্থাপন করা। এটি হতে পারে একাডেমিক এবং নন একাডেমিক বিষয়ের উপরে। হতে পারে আপনি school college এর শিক্ষার্থীদের একাডেমির বিষয়ে শিক্ষাদানের মাধ্যমে কোচিং সেন্টার চলমান রাখেন। অথবা প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কোচিং সেন্টার শুরু করে। উভয় ক্ষেত্রেই খুব ভালো পরিমাণের অর্থ আয় করা সম্ভব। 

স্বাভাবিকভাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার জন্য কোচিং সেন্টার খুলে থাকেন, তবে হিসাব করে দেখুন যদি আপনার পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী ও থাকে এবং প্রতি মাসে সে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০০ টাকা পেমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন তাহলেও মাসে ৫০০০০ টাকা আয় হচ্ছে আপনার। 

তবে স্বাভাবিকভাবে দেখা যায় একটি কোচিং সেন্টারে শুধু 50 জন নয় বরং এর থেকেও বেশি শিক্ষার্থী থাকে তাছাড়া এক হাজার টাকা পেমেন্টে আজকাল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে এমন খুব কম ই স্থান রয়েছে। যার কারণে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে কোচিং সেন্টারকে এ তালিকায় লিপিবদ্ধ করেছি। 

পরিশেষে কিছু কথা

আর্টিকেলটি কিছুটা বড় হয়ে গেল, তবে এখানে রয়েছে প্রতিটি বিষয়ের উপরে স্বচ্ছ ধারণা। আপনি যদি প্রথম থেকে পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে অধ্যয়ন করেন তবে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা পেয়ে যাবেন। আশা করি এবারের আর্টিকেলটি আপনার জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি আপনি যদি আরও অন্যান্য আয়ের উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে টাকা ইনকাম ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো দেখতে পারেন। ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post

ads5